কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ গাইড
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত (Kuakata sea beach) বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত একটি সমুদ্র সৈকত। যা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নে অবস্থিত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই সৈকত থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।
এই সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) ও প্রস্থ ৩ কিলোমিটার (১.৯ মাইল)। সৈকতের পূর্ব দিকে গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন অবস্থিত। যা আগে সুন্দরবনের একটি অংশ ছিলো। এই বন বর্তমানে কুয়াকাটার তীরকে সমুদ্রের ঢেউ থেকে রক্ষা করে।
পরিস্কার বেলাভূমি, ঝাউবন, দিগন্তজোড়া নীল আকাশ, ম্যানগ্রভ বন ও দিগন্তজোড়া সমুদ্র কুয়াকাটার আরো আকর্ষণীয় করে তুলে। সব দিক বিবেচনা করে পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সাগরকন্য নামে পরিচিত লাভ করেছে।
কুয়াকাটা সৈকত থেকে সূর্যোদয় দেখার জন্য পূর্বে দিকের ঝাউবনে যাবেন। কারণ এখান থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য ভালোভাবে দেখা যায়। ঝাউবনে পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিট আর ভ্যানে গেলে সময় লাগে ১০ মিনিট। এখানে সারি সারি ঝাউগাছের ভিতরে হাঁটতে আপনার ভালো লাগবে।
পর্যটকদের সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ভাড়ায় চালিত স্পিডবোট, মোটরসাইকেল ও ঘোড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত সময় ও দূরত্বের উপর ভাড়ার পরিমান নির্ধারণ করা হয়।
সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে ঘুরে দেখার জন্য বেশ কয়েকটি চর রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সোনার চর, হাঁসার চর, ফাতরার চর, কটকা, গঙ্গামতির লেক ও সুন্দরবন। এই পর্যটন স্পষ্ট গুলোতে যাওয়ার জন্য স্পিডবোট, ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা ও ট্রলার রয়েছে।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ভ্রমণের জন্য কুয়াকাটা সৈকতের পাশে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট রয়েছে। সেখান রান্নার জন্য বাবুর্চি সহ চুলা, হাড়ি, পাতিল, কাঠ ইত্যাদির ব্যবস্থা রয়েছে। এর জন্য নিদিষ্ট ভাড়া দিতে হবে।
যদি সমুদ্রের গর্জন শুনতে চান তাহলে রাতে সমুদ্র সৈকতে যাবেন। সমুদ্রের ভয়ংকর গর্জন রাতে শুনতে পাবেন। পর্যটন স্পট হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। তবে সাবধানে থাকা ভালো। এছাড়া সৈকতের কাছাকাছি কোনো হোটেলে থাকলে সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাবেন। দিনের বেলায় আশেপাশের শব্দে সাধারণত সমুদ্রের গর্জন শোনা যায় না।
সাগরকন্যা কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের কেনাকাটা করার জন্য বার্মিজ মার্কেট রয়েছে। সেখান থেকে নিজের এবং পরিবারের জন্য আকর্ষণীয় সব জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবেন। এই মার্কেটে তুলনামূলকভাবে দাম একটি বেশি হলেও অনেক নতুন নতুন আইটেম পাবেন।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে ও নদী পথে খুব সহজে কুয়াকাটা যেতে পারবেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পর বাসে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে সময় এবং দূরত্ব অনেক কমে গেছে।
বাসে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা
ঢাকা থেকে সরাসরি কুয়াকাটা যেতে পারবেন। ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, আব্দুল্লাহপুর বাস স্টেশন থেকে শ্যামলী, হানিফ, সোহাগ, সেন্টমার্টিন, গ্রীনলাইন, এস আলম, ইউনিক পরিবহন সহ আরও অনেক পরিবহন কুয়াকাটা যায়। এসি নন-এসি বাস ভেদে জনপ্রতি ভাড়া ৭৫০ টাকা থেকে ১,৬০০ টাকা পর্যন্ত। যেতে সময় লাগবে প্রায় ৬-৭ ঘন্টা, দূরত্ব ২৮০ কিলোমিটার।
লঞ্চে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা
ঢাকা থেকে লঞ্চে সরাসরি কুয়াকাটা না যেতে পারলেও পটুয়াখালী ও বরিশাল যেতে পারবেন। বাসের চেয়ে লঞ্চে ভ্রমণ করা অনেক আনন্দের। যাদের বাসে চড়তে সমস্যা হয় তারা লঞ্চ ভ্রমণে কুয়াকাটা যেতে পারেন।
ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রত্যেক দিন সন্ধ্যায় পটুয়াখালীগামী লঞ্চ ছেড়ে যায় এবং পরের দিন সকাল ৬-৭ টার দিক পটুয়াখালী পৌঁছায়। জনপ্রতি লঞ্চে ভাড়া ডেক ৫০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ১,৩০০ টাকা, ডাবল কেবিন ২,৪০০ টাকা এবং ভিআইপি কেবিন ৭,০০০ টাকা।
পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট থেকে সিএনজি করে সরকারি কুয়াকাটা সৈকতে যেতে পারবেন। ভাড়া লাগবে ১৬০-১৭০ টাকা এবং যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মতো।
ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে প্রত্যেক দিন সন্ধ্যায় অনেক গুলো লঞ্চ ছেড়ে যায়। বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে সিএনজি করে রুপাতলি বাস স্টেশন যাবেন।
রুপাতলি বাস স্টেশন থেকে কুয়াকাটাগামী বাস পেয়ে যাবেন। বাসে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে কুয়াকাটা যেতে পারবেন। যেতে সময় লাগবে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মতো।
কোথায় খাবেন
কুয়াকাটা খাবার জন্য অনেক স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সেখানে দেশি খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সমুদ্রের মাছ খেতে পারবেন। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের আশেপাশে খাবার জন্য অনেক হোটেল রয়েছে।
এছাড়া কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় ছোট ছোট অনেক খাবার হোটেল রয়েছে। এ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোটেল মান্নান, কলাপাড়া হোটেল, হোটেল বরিশাল ইত্যাদি। এসব হোটেল থেকে কম খরচে মানসম্মত খাবার খেতে পারবেন।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গেলে অবশ্যই ফিশ বারবিকিউ খাবেন। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পাশে ফিশ ফ্রাই মার্কেটে সমুদ্রের বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনে দিলে তারা আপনার সামনে বারবিকিউ বানিয়ে দিবে। সমুদ্রের সতেজ মাছের বারবিকিউ এর স্বাদ সত্যিই অসাধারণ।
তবে, কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেলের অতিথিদের খাবার জন্য হোটেলের নিজস্ব রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেলে রাত্রিযাপন করার পাশাপাশি খাবার ব্যবস্থা তারা করে।
কোথায় থাকবেন
কুয়াকাটা থাকার জন্য অনেক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। আপনার বাজেট অনুযায়ী হোটেল বা রিসোর্টে থাকতে পারেন। মোটামুটি মানের হোটেলে থাকতে হলে ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকা খরচ করতে হবে।
কম খরচে থাকতে চাইলে ২ জনের জন্য ১,০০০ থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে রুম পেয়ে যাবেন। আর আপনার বাজেট যদি বেশি হয় এবং ভিআইপি ভাবে থাকতে চাইলে অভিজাত রিসোর্ট ও শিকদার রিসোর্ট এ রাত্রিযাপন করতে পারবেন।
কক্সবাজারের মতো কুয়াকাটায় তেমন ভালো মানের সি-ভিউ হোটেল নেই। তবে জিরো পয়েন্ট ও তার আশেপাশে পর্যটন মার্কেট গলিতে মোটামুটি মানের সি-ভিউ হোটেল পাবেন। সিজনের সময় রুম ভাড়া পড়বে ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া কুয়াকাটায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সরকারি হোটেল মোটেল রয়েছে। এখানেও কম খরচে থাকতে পারবেন।
কুয়াকাটা মানসম্মত আধুনিক হোটেল সমূহের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার ও রুম ভাড়া উল্লেখ করা হল।
- হোটেল স্কাই প্যালেস
- ঠিকানা: পর্যটন এরিয়া, কুয়াকাটা
- মোবাইল নাম্বার: 01727-030248, 01716-749027
- ভাড়া: ১,২০০ থেকে ২,৪০০ টাকা পর্যন্ত
- হোটেল নীলাঞ্জনা
- ঠিকানা: রাখাইন মার্কেট, কুয়াকাটা
- মোবাইল নাম্বার: 01712-927904
- ভাড়া: ৮০০ থেকে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত
- হোটেল বনানী প্যালেস
- ঠিকানা: পর্যন্টন এরিয়া, কুয়াকাটা
- মোবাইল নাম্বার: 01712-849373, 01911-672135
- ভাড়া: ১,২০০ থেকে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত
- বিশ্বাস সি প্যালেস হোটেল
- ঠিকানা: বেড়িবাঁধ, কুয়াকাটা
- মোবাইল নাম্বার: 01730-093356
- ভাড়া: ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত
- কিংস হোটেল
- ঠিকানা: সাগর পাড়, কুয়াকাটা
- মোবাইল নাম্বার: 01713-277630
- ভাড়া: ৬০০ থেকে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত
- হলিডে হোমস
- ঠিকানা: বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, কুয়াকাটা
- মোবাইল নাম্বার: 01715-001148-3
- ভাড়া: ৮০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত
- ইয়োথ ইন
- ঠিকানা: বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, কুয়াকাটা
- মোবাইল নাম্বার: 04428-56207
- ভাড়া: ১,০০০ থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত
কুয়াকাটা ভ্রমণে সিজনের সময় রুম পেতে একটু সমস্যা হয়। তাই যাওয়ার কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন আগে অগ্রিম রুম বুকিং দিয়ে যাবেন। ছুটির দিন ব্যাতিত অন্যান্য দিন কম খরচে রুম ভাড়া পাবেন।
কুয়াকাটা সৈকতের আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সমূহ
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও এর আশেপাশে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এসব দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে কুয়াকাটার কুয়া, সীমা বৌদ্ধ মন্দির, কেরানিপাড়া, শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির জঙ্গল, ফাতরার বন, ক্রাব আইল্যান্ড, চর বিজয় উল্লেখযোগ্য।
কুয়াকাটা ভ্রমণে গিয়ে আশেপাশের এসব দর্শনীয় স্থান সমূহ অবশ্যই ঘুরে আসবেন। এসব স্থানে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল, স্পিডবোট ও ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা রয়েছে।
কুয়াকাটার কুয়া: কুয়াকাটার নামকরণ করা হয়েছে এই কুয়ার নাম থেকে। কথিত আছে ১৭৮৪ সালে রাখাইনরা তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে বঙ্গোপসাগরে তীরে আশ্রয় নেই। তখন তারা মিষ্টি পানির জন্য এই কূপ খনন করেন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে এই জায়গায় নাম হয় কুয়াকাটা।
সীমা বৌদ্ধ মন্দির: কুয়াকাটার কূপের একটু সামনে এই বৌদ্ধ মন্দির অবস্থিত। এই মন্দিরে ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতুর বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। এটি কয়েকশত বছরের আগের মন্দির, নতুন দালান তৈরি করেছে।
কেরানিপাড়া: সীমা বৌদ্ধ মন্দির থেকে একটু সামনে গেলে রাখাইনদের বসবাস দেখতে পাবেন। এই পাড়ার নাম কেরানিপাড়া। সেখানে রাখাইন নারীদের কাপড় বুণন দেখতে পাবেন।
শুঁটকি পল্লী: কুয়াকাটা সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে জেলে পল্লী অবস্থিত। নভেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে জেলেরা বসবাস করে এবং সমুদ্র থেকে মাছ ধরে শুকিয়ে শুঁটকি মাছ তৈরি করে। আপনি এখান থেকে কম দামে শুঁটকি মাছ কিনে আনতে পারেন।
গঙ্গামতির জঙ্গল: কুয়াকাটা সৈকত শেষ হয়েছে পূর্ব দিকের গঙ্গামতি খালে গিয়ে। এরপর থেকে গঙ্গামতির জঙ্গল শুরু। এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ, বন মোরগ, শুকর ও নানা ধরনের পাখি দেখতে পাবেন। কুয়াকাটা সৈকত থেকে ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকায় এখানে যেতে পারবেন।
ফাতরার বন: সৈকতের পশ্চিম দিয়ে নদীর ও পাড় থেকে ফাতরার বন শুরু। এই বনে সুন্দর বনের সব বৈশিষ্ট্য সহ বন মোরগ, শুকর, বানর, বিভিন্ন ধরনের পাখি ইত্যাদি দেখতে পাবেন। সৈকত থেকে ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকায় এখানে যেতে পারবেন।
ক্রাব আইল্যান্ড: সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে পূর্ব দিকে অনেকটা পথে গেলে লাল কাঁকড়া দ্বীপ বা ক্রাব আইল্যান্ড দেখতে পাবেন। নির্জন এই দ্বীপে হাজার হাজার লাল কাঁকড়া দেখতে পাবেন। কুয়াকাটা সৈকত থেকে স্পিডবোটে এখানে যেতে পারবেন।
একদিনে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ট্যুর প্লান
ঢাকা থেকে একদিকে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখে আসতে পারবেন। ঢাকা থেকে রাতে কুয়াকাটাগামী যেকোনো বাসে পরের দিন ভোরে কুয়াকাটা পৌঁছে যাবেন।
সকালে নাস্তা করে বের হবেন সমুদ্র সৈকত দেখতে। সৈকতে সময় কাটিয়ে অন্যান্য দর্শনীয় স্থান সমূহ ঘুরে দেখতে রির্জাভ মোটরসাইকেল ভাড়া পাবেন। মোটরসাইকেলে চড়ে অন্যান্য দর্শনীয় স্থান দেখতে যাবেন। ভাড়া লাগবে ৫০০-৭০০ টাকা দামাদামি করে নিবেন।
নিজের সময় ও সুবিধা মতো দুপুরের খাবার খেয়ে নিবেন। সারাদিন সমুদ্র সৈকত সহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থান সমূহ দেখে রাতে খাবার খেয়ে আবার ঢাকাগামী যেকোনো বাসে রাতে ঢাকায় ফিরে যাবেন।
কম খরচে কুয়াকাটা ভ্রমণ
কম খরচে কুয়াকাটা ভ্রমণ করতে আপনি ৩-৪ জন বন্ধু নিয়ে পিক সিজনে কুয়াকাটা যাবেন। কারণ পিক সিজনে এখানকার হোটেল ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, খাবার সব কিছুতে ডিসকাউন্ট পাবেন।
তাছাড়া ৩-৪ জন বন্ধু মিলে একসাথে ঘুরতে গিয়ে খরচ অনেক মতে যায়। নন-এসি বাসে যাতায়াত করলে ভাড়া অনেক কমে যাবে।
কুয়াকাটা ভ্রমণ টিপস
- কুয়াকাটা সৈকতে ময়লা আর্জবনা (পানির বোতল, চিপস প্যাকেট) ফেলবেন না।
- সমুদ্রে গোসল করার আগে জায়গাটি নিরাপদ কিনা জেনে নিবেন।
- সাঁতার না জানলে সমুদ্রে নামবেন না।
- খাবার, কেনাকাটা, বাইক ভাড়া সহ যেকোনো কিছু দামাদামি করেন নিবেন।
- স্থানীয় মানুষের সাথে ভালো আচারণ করুন।
- যেকোনো প্রয়োজনে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের সাহায্য নিন (01769-690719)
আরো পড়ুন