alternatetext
বাংলার তাজমহল
|

বাংলার তাজমহল, সোনারগাঁও

বর্তমান পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে ইন্ডিয়ার আগ্রার তাজমহলের মতো বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পেরাব গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলার তাজমহল (Banglar Taj Mahal) বা দ্বিতীয় তাজমহল।

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিশিষ্ট শিল্পপতি ও চলচ্চিত্রকার আহসান উল্লাহ মনি এই তাজমহল তৈরি করেন। ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০০৮ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এরপর ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বসাধারণের জন্য তাজমহল খুলে দেয়া হয়।

বাংলার তাজমহল নির্মাণের ভারতের আগ্রার তাজমহলের সাথে সর্বোচ্চ মিল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। সোনারগাঁও তাজমহলের অভ্যন্তরে আহসান উল্লাহ মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়ার কবরের স্থান সংরক্ষণ করা আছে।

ভারতের আগ্রার তাজমহলের মতো মূল ভবনের চার কোণো চারটি বড় মিনার আছে। তাজমহলের প্রধান ভবনে স্বচ্ছ দামি পাথর দিয়ে মোড়ানো। ভবনের সামনে পানির ফোয়ারা, দর্শনার্থীদের বসার স্থান ও ফুলের বাগান আছে।

BM Khalid Hasan Sujon

এছাড়া সোনারগাঁও বাংলার তাজমহলে আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও, রাজমনি ফিল্ম সিটি রেস্তোরাঁ। এখানে আগত দর্শনার্থীরা চাইলে ছবি তুলতে পারবে।

বাংলার তাজমহলকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এর পাশে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম মিসরের পিরামিডের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে পিরামিড। এর সাথে আরো নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর, ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কর্য, সেমিনার হল ও ২৫০ আসন বিশিষ্ট সিনেমা হল।

এছাড়াও সোনারগাঁও বাংলার তাজমহলকে ঘিরে আরো গড়ে উঠেছে বিভিন্ন হস্তশিল্প, মাটির গহনা, জামদানি শাড়িসহ আরো বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দোকান। এর পাশে রয়েছে শুটিং স্পট সেখানে বিভিন্ন নাটক বা সিনেমার শুটিং করা সম্ভব।

মহাসড়ক থেকে সহজে তাজমহলের অবস্থান সহজে চেনার জন্য বিভিন্ন পয়েন্ট নির্দেশনার সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেক দিন দেশ বিদেশ থেকে বহু পর্যটক ভীড় করছেন এই তাজমহল দর্শনের জন্য।

BM Khalid Hasan Sujon

বাংলাদেশের তাজমহল কোথায় অবস্থিত

বর্তমান পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে ভারতের আগ্রার তাজমহলের মতো বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পেরাব গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের তাজমহল। ২০০৩ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০০৮ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

বাংলার তাজমহল কিভাবে যাব

রাজধানী ঢাকা থেকে বাংলার তাজমহলের দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী বা কিশোরগঞ্জগামী বাসে চড়ে বরপা বাস টার্মিনাল নেমে অটোরিকশা বা সিএনজি করে বাংলার তাজমহলে যেতে পারবেন।

আবার ঢাকা থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে দাউদকান্দি, কুমিল্লা বা সোনারগাঁওগামী বাসে চড়ে মদনপুর বাস টার্মিনাল নেমে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা অটোরিকশা বা সিএনজি ভাড়া দিয়ে তাজমহল দেখতে যেতে পারবেন।

BM Khalid Hasan Sujon

এছাড়া রাজধানী ঢাকা থেকে ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে ভুলতা এসে সেখান থেকে ৯০ থেকে ১০০ টাকা অটোরিকশা বা সিএনজি ভাড়া নিয়ে সোনারগাঁও তাজমহল যেতে পারবেন।

সময়সূচী ও প্রবেশ টিকেট মূল্য

সোনারগাঁও বাংলার তাজমহল প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বাংলার তাজমহল বন্ধের দিন নেই। সপ্তাহের ৭ দিনই তাজমহল খোলা থাকে।

তাজমহলে জনপ্রতি প্রবেশ টিকেট মূল্য ১৫০ টাকা। একই টিকেটে পিরামিডের প্রবেশ মূল্য একসাথে পরিশোধ করতে হয়। মনে রাখবেন শুধুমাত্র তাজমহল বা পিরামিড আলাদা আলাদা ভাবে টিকেট কেটে দেখার সুযোগ নেই।

সোনারগাঁও তাজমহল কে নির্মাণ করেন

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিশিষ্ট শিল্পপতি ও চলচ্চিত্রকার আহসান উল্লাহ মনি এই তাজমহল নির্মাণ করেন।

তাজমহলের পাশে আরো দর্শনীয় স্থান সমূহ

  • সোনারগাঁও জাদুঘর
  • মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
  • পানাম নগর
  • জিন্দা পার্ক

আরো পড়ুন

Similar Posts