alternatetext
মহেশখালী দ্বীপ Maheshkhali Island

মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণ গাইডলাইন

মহেশখালী দ্বীপ (Maheshkhali Island) চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। বাংলাদেশের একমাত্র পার্বত্য দ্বীপ মহেশখালী।

৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মহেশখালী উপজেলা মহেশখালী, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা এই ৪টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এর উত্তরে চকরিয়া উপজেলা, দক্ষিণে কক্সবাজার ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে কক্সবাজার ও চকরিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে কুতুবদিয়া উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।

১৫৫৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মহেশখালী দ্বীপের সৃষ্টি হয়। জনতা বাজার নামে নতুন স্থান নির্মিত হওয়ায় মহেশখালী সেতু দিয়ে মূল মূল ভূ-খণ্ডের সাথে এই দ্বীপের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে।

মহেশখালীর নামের সাথে জড়িয়ে আছে দেশের সুখ্যাতি মিষ্টি পান। এছাড়া লবণ চাষ, শুঁটকি মাছ, চিংড়ি চাষের ঘের ও মুক্তা উৎপাদনের জন্য এই মহেশখালী বিখ্যাত। কক্সবাজার থেকে ৫-৬ ঘন্টা সময় হতে নিয়ে মহেশখালী দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করে আসতে পারেন।

BM Khalid Hasan Sujon

কিভাবে মহেশখালী দ্বীপের নামকরণ হয়

মহেশখালী দ্বীপের নামকরণে লোকমুখে একটি গল্প আছে। অনেক আগের মহেশখালী যার নাম স্থানীয় নাম চরপাড়া ছিল। এখানে প্রভাবশালী এক লোক বসবাস করতো যায় নাম নূর মোহাম্মদ সিকদার। তার পাহাড়ি হরিণ শিকার শিকার করার অনেক শখ ছিল।

একদিন পাহাড়ে হরিণ শিকারে বেরিয়ে সারাদিন হরিণ শিকার করতে না পেরে ক্লান্ত হয়ে তিনি একটি গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ একটি আচমকা শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।

তিনি শব্দ অনুসারণ করে গিয়ে দেখে শব্দটি এসেছে একটি গাভীর নিকট থেকে। গাভীটি মসৃণ পাথরের উপর দাঁড়িয়ে বান থেকে দুধ ঢালছে। নূর মোহাম্মদ সিকদার অবাক হয়ে দেখলেন এই গাভীটি তার গোয়ালঘর থেকে কিছুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিলো।

BM Khalid Hasan Sujon

পরে নূর মোহাম্মদ সিকদার গাভী ও সেই সুন্দর পাথরটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। সেই রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন এক মহাপুরুষ তাকে বলছে সেই পাথর খন্ডটি কোনো বস্তু নয়, একটি দেব বিগ্রহ।

এই দেব বিগ্রহ যেখান থেকে নিয়ে এসেছে সেখানে রেখে আসতে হবে এবং তার উপর একটি মন্দির নির্মিত করতে হবে, যার নাম হবে আদিনাথ মন্দির। আদিনাথ মানে হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা শিব। যার ১০৮ টি নাম রয়েছে যার একটি মহেশ। এই শিবের নাম অনুসারে পরবর্তীতে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল মহেশখালী।

স্থানীয় লেকেরা মনে করে প্রায় ২০০ বছর আগে এই স্থানটি মহেশখালী নামে পরিচিত লাভ করে। যার নামকরণ করা হয়েছে বৌদ্ধ সেন মহেশ্বর এর নাম অনুসারে।

মহেশখালী দর্শনীয় স্থান

মহেশখালী দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র পার্বত্য পাহাড়ি দ্বীপ। মহেশখালী দ্বীপসহ আরো ৩টি দ্বীপের সমন্বয়ে মহেশখালী উপজেলায় গঠিত হয়েছে। মহেশখালী দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

BM Khalid Hasan Sujon

আদিনাথ মন্দির

আদিনাথ মন্দির

মহেশখালী দ্বীপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র আদিনাথ মন্দির। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮০ ফুট উচুতে মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় আদিনাথ মন্দির অবস্থিত। মন্দিরে ৬৯টি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়। উপর থেকে দেখতে পাবেন পানের বরজ, ম্যানগ্রোভ বন ও ফেনীল বঙ্গোপসাগর।

মন্দিরের উপরে দুইটি পুকুর রয়েছে, এত উচ্চতায় থাকার পরেও এই পুকুরের পানি কখনো শুকায় না। স্থানীয় লোকেরা বিশ্বাস করে এই পুকুরে গোসল করলে যেকোনো রোগ ভালো হয়ে যায়।

প্রত্যেক বছর ফাল্গুন মাসে আদিনাথ মন্দির জুড়ে চলে শিব চতুর্দশী মেলা। উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই মেলায় অংশ নেয়। এসময় মন্দির প্রান্তে বিরল এক প্রজাতির ফুল ফুটে।

সোনাদিয়া দ্বীপ

সোনাদিয়া দ্বীপ মহেশখালী উপজেলার অর্ন্তগত কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত। এই দ্বীপের আয়তন ৯ কিলোমিটার। মহেশখালী দ্বীপ থেকে একটি খাল দ্বারা এই দ্বীপকে বিছিন্ন করা হয়েছে।

এই দ্বীপের তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, কেয়া-নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি এবং বিচিত্র প্রজাতির জলচর ও পাখি। সোনাদিয়া দ্বীপ বাংলাদেশের প্রধান শুঁটকি উৎপাদন কেন্দ্র।

জীববৈচিত্র্যের অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রত্যেক বছর হাজার হাজার পর্যটকেরা সোনাদিয়া দ্বীপে ঘুরতে আসে। তাছাড়া অনেক পর্যটকেরা এখানে রাত কাটানোর জন্য আসে, চাঁদনী রাতে দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করে।

শুটিং ব্রিজ

মহেশখালীতে শুটিং ব্রিজ নামে নান্দনিক একটি ব্রিজ আছে। এখানে বিভিন্ন বাংলা সিনেমা ও নাটকের শুটিং হয়। পর্যটকদের কাছে এটি আকর্ষণীয় একটি স্থান। এই ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় দুপাশে দেখতে পাবেন লবণ ক্ষেত, পানের বরজ, গোলপাতা ও সুন্দরী বন।

মহেশখালী সমুদ্র সৈকত

মহেশখালী ভ্রমণে যাবেন আর সমুদ্র সৈকত দেখবেন না সেটা হয় না। যারা সমুদ্র সৈকত ভালোবাসেন তারা অবশ্যই মহেশখালী সমুদ্র সৈকত দেখে আসবেন। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতে সাদা বালি, সমুদ্রের নীল জলরাশী, প্যারাবন, উচ্চ ঝাউবন দেখতে পাবেন।

এছাড়া এখানে সাঁতার কাটা, কায়াকিং, ডাইভিং ও ওয়াটার স্কিইংয়ের মতো আধুনিক সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

বড় রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ বিহার

মহেশখালীর আরও একটি আকর্ষণীয় স্থান হল বড় রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ বিহার বা মন্দির। এখানে দেখতে পাবেন তামায় গড়া একই রকমের দুইটি প্যাগোডা, বিশালাকৃতির কয়েকটি বৌদ্ধমূর্তি ও কয়েকটি ভবন।

বছরের বিভিন্ন সময় এখানে নানা ধরনের ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব হল বৌদ্ধ পূর্ণিমা। এছাড়া রয়েছে রাখাইন নববর্ষ উৎসব।

শুঁটকি মহাল

মহেশখালীতে রয়েছে শুঁটকি পল্লী। এখান বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি বানানো হয়। স্থানীয় লোকেরা বলে এই শুঁটকি পল্লীতে কোনো রকম ক্যামিকেল ছাড়া শুঁটকি মাছ শুকানো হয়। যারা শুঁটকি মাছ নিতে চান তারা অবশ্যই এখানে আসবেন।

লবণ ক্ষেত

মহেশখালী রয়েছে লবণ চাষের ক্ষেত। এখানে শতশত বিঘা জমিতে লবণ চাষ করা হয়। নদীর পানির মাধ্যমে জমিতে এই লবণ চাষ করা হয়। পরে এই লবণ গুলো ঢাকায় পাঠানো হয়।

মিষ্টি পান

মহেশখালী মিষ্টি পানের জন্য বিখ্যাত। এখানকার অধিকাংশ মানুষ পান চাষ করে। মহেশখালী গেলে অবশ্যই মিষ্টি পান খেতে দ্বীপের ১ নম্বর জেটি ঘাটে যেতে হবে।

এছাড়া মহেশখালী দ্বীপের দেখার মতো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এ গুলোর মধ্যে লিডারশীপ ইউনিভার্সিটি কলেজ ক্যাম্পাস, উপজেলা পরিষদ, গোরকঘাটা জমিদারবাড়ী, মুদির ছড়ার ম্যানগ্রোভ বন, ঝাউবন উল্লেখযোগ্য।

মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় শীতের শুরুতে এবং বসন্তের সময়। বৌদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব দেখতে মে মাসে এবং রাখাইন নববর্ষ দেখতে এপ্রিল মাসে যেতে হবে।

মহেশখালী একটি দ্বীপ, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দুর্যোগ থাকে। এই কয়েক মাস বাদে অন্যান্য মাস গুলোতে পাহাড়ি এই দ্বীপে যাওয়া ভালো।

কিভাবে মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণে যাবেন

মহেশখালী যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কক্সবাজার। ঢাকা থেকে সড়ক ও আকাশ পথে সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারবেন। বাসে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, আব্দুল্লাহপুর, ফকিরাপুল বাস টার্মিনাল থেকে শ্যামলী, হানিফ, সোহাগ, গ্রীন লাইন, মর্ডাণ লাইন, সৌদিয়া সহ আরো বিভিন্ন কোম্পানির পরিবহনে সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারবেন।

এসি, নন-এসি বাস ভেদে ঢাকা টু কক্সবাজার বাস ভাড়া ১,০০০ টাকা থেকে ২,৬০০ টাকা পর্যন্ত। যেতে সময় লাগবে ৮ থেকে ৯ ঘন্টার মতো। রাত ১০ টায় বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে গেলে সকাল ৭ টার মধ্যে কক্সবাজার পৌঁছে যাবেন।

ট্রেনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে কমলাপুর রেলস্টেশন বা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে পর্যটন এক্সপ্রেস বা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে কক্সবাজার যেতে পারবেন। কেবিন সিট ভেদে ভাড়া ৫০০ টাকা থেকে ১,৭৫০ টাকা পর্যন্ত।

আকাশ পথে বিমানে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারবেন। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ফ্লাইটে কক্সবাজার যেতে পারবেন। ঢাকা টু কক্সবাজার বিমান ভাড়া ৩,৫০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত। যেতে সময় লাগবে ৫৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা।

কক্সবাজার শহরের যেকা থেকে মহেশখালী দ্বীপ যাওয়ার জন্য ৬ নং জেটি ঘাটে যেতে হবে। এখান থেকে লোকাল স্পিড বোট বা ট্রলারে মহেশখালী যেতে হবে। অধিকাংশ পর্যটকেরা স্পিড বোটে মহেশখালী যায়।

স্পিড বোটে জনপ্রতি ভাড়া ১৫০ টাকা। যেতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মতো। ট্রলারে যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টার মতো এবং ভাড়া জনপ্রতি ৭০ টাকা। মহেশখালী ১ নং জেটি ঘাট পৌঁছে সেখান থেকে অটোরিকশা রিজার্ভ নিয়ে মহেশখালী দ্বীপের দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে দেখতে পারবেন।

অটোরিকশাওয়ারা আপনাকে মহেশখালী দ্বীপের দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে ঘুরে দেখিয়ে আবার জেটি ঘাটে ফেরত নিয়ে আসবে। অটোরিকশা রিজার্ভ নিতে ভাড়া লাগবে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। আপনি দামাদামি করে নিবেন ভাড়া ঠিক করবেন এবং কোন কোন স্থান ঘুরে দেখাবে, কত সময় থাকবেন বিস্তারিত বলে নিবেন।

আপনার হাতে যদি সময় থাকে এবং যদি সোনাদিয়া দ্বীপে যেতে চান তাহলে অটোরিকশা নিয়ে সোনাদিয়া দ্বীপে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অটোরিকশা ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পড়বে।

কোথায় থাকবেন

মহেশখালী দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য তেমন কোনো ভালো হোটেল নেই। কারণ পর্যটকেরা কক্সবাজার থেকে ডে-ট্যুরে মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণে যায়। আবার ভ্রমণ শেষে কক্সবাজার ফিরে আসে।

কক্সবাজার শহরের থাকার জন্য আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট আছে। অফ সিজনে হোটেল ভাড়া তুলনামূলক কম থাকে। সিজনের সময় (ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস) অগ্রিম হোটেল বুকিং করে যাওয়া ভালো।

মিডিয়াম বাজেটের মধ্যে কক্সবাজার শহরে হোটেল গুলোর মধ্যে কোরাল রীফ, অভিসার, কল্লোল, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট, ইকরা বিচ রিসোর্ট, মিডিয়া ইন, সী প্যালেস, সী গাল, বীচ ভিউ, ইউনি রিসোর্ট, নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, লং বীচ, কক্স টুডে, হেরিটেজ, সায়মন বিচ রিসোর্ট, ওশেন প্যারাডাইজ, মারমেইড বিচ রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য।

উপরে উল্লেখ করা হোটেল গুলোর ভাড়া ৮০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত। আপনার বাজেট অনুযায়ী হোটেল বুক করতে পারেন। সমুদ্র সৈকত ও মেইন রোড থেকে যত দূরে হোটেল ভাড়া নিবেন তত কম টাকায় হোটেল ভাড়া নিতে পারবেন।

পরিবার নিয়ে একটু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে পারেন। এসি, নন-এসি ২/৩/৪ বেড রুম বিশিষ্ট ফ্ল্যাটের ভাড়া ২,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।

কোথায় খাবেন

কক্সবাজার থেকে মহেশখালী দ্বীপ ঘুরে আসতে ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগে। অধিকাংশ পর্যটকেরা কক্সবাজার ফিরে এসে খাবার খায়। আপনি চাইলে সাথে করে কিছু শুকনো খাবার নিতে যেতে পারেন।

কক্সবাজার খাবার জন্য বিভিন্ন মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে। এখান থেকে আপনি পছন্দতম খাবার খেতে পারবেন। মধ্যম মানের রেস্তোরাঁর মধ্যে ঝাউবন, রোদেলা, ধানসিঁড়ি, পৌষি, নিরিবিলি ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য।

সিজনের সময় অন্যান্য জিনিসের তুলনায় খাবারের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পায়। খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই খাবারের দাম জেনে নিবেন। তাছাড়া উন্নত মানের খাবার খেতে কেওএফসি রয়েছে।

Similar Posts