মতিরহাট সৈকত, লক্ষীপুর

লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত মতিরহাট সৈকত (Motirhat Beach)। মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে মতিরহাট বাজার রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রাকৃতিক ভাবে প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত অপূর্ব সৈকতের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা এই সৈকতের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মতির হাট মেঘনা সৈকত কে মিনি কক্সবাজার এর সাথে তুলনা করেন।

একপাশে বেড়িবাঁধ এবং অন্যপাশে সৈকত দেখে মনে হয় সৃষ্টির পরিপূরক। শেষ বিকালে মেঘনা নদীর জলে সূর্যের বিকিরণ দেখলে আপনার মনে পড়বে কক্সবাজার বা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কথা। বেড়িবাঁধ থেকে সূর্যাস্থের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

বেলাভূমি ধরে অনেকটা পথ হাঁটতে পারবেন। হাঁটার সময় চোখে পড়বে নদীর বৈচিত্র্যময় দৃশ্য, জেলেদের মাছ ধরা, বিস্তৃত বেলাভূমি, নারিকেল ও সুপারি বাগান, বিশাল চর, বিভিন্ন ধরনের পাখি এবং ইলিশের হাট। চাইলে নদীতে গোসল করা এবং নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

মতিরহাট সৈকত যাওয়ার উপযুক্ত সময়

মতিরহাট মেঘনা সৈকতে যাওয়ার উপযুক্ত সময় শীতকাল। অর্থাৎ নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। এসময় আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং সৈকতের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে আলবারাকা, রয়েল, আলম, ইকোনো, ঢাকা এক্সপ্রেস, গ্রীনলাইন এক্সপ্রেস সহ লক্ষীপুরগামী যেকোনো বাসে চড়ে লক্ষীপুর আসতে পারবেন। ঢাকা টু লক্ষীপুর নন-এসি বাস ভাড়া ৭০০ টাকা এবং এসি বাস ভাড়া ১,০০০ টাকা, যেতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা।

লক্ষীপুর বাস টার্মিনাল থেকে কমলনগর উপজেলার মতির হাট সৈকত যাবার লোকাল বাস বা সিএনজি পাওয়া পাবেন। বাস ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা এবং সিএনজি ভাড়া ১০০ টাকা।

কোথায় থাকবেন

মতির হাট সৈকতে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। ভালো মানের হোটেলে রাত্রিযাপন করতে চাইলে লক্ষীপুর শহরের এন আর গেস্ট হাউজ (01623-619053), হোটেল আবেহায়াত (01718-428922), হোটেল গোলাপ (01860-188302), সোনার বাংলা গেস্ট হাউজ (01733-687166), হোটেল ইউনিক (01732-202256), স্টার গেস্ট হাউজে (01726-123719) থাকতে পারবেন।

BM Khalid Hasan Sujon

কোথায় খাবেন

মতিরহাট মাছ বাজারে মেঘনা নদীর তাজা ইলিশ মাছ  ও মহিষের খাটিঁ দুধের তৈরি দই অবশ্যই খেয়ে দেখবেন।

ভালো মানের খাবার জন্য লক্ষীপুর জেলা শহরে অবস্থিত কুটুম বাড়ি রেস্টুরেন্ট, আব্বাস আলী রেস্টুরেন্ট, রাজমহল হোটেল, মোহাম্মদীয়া হোটেল, ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, সেন্ট মার্টিন রেস্টুরেন্ট, নূর জাহান হোটেল, তৃপ্তি হোটেল থেকে পছন্দসই খাবার খেতে পারেন।

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে আস সালাম জামে মসজিদ, তিতা খাঁ মসজিদ, দালাল বাজার জমিদার বাড়ি, জ্বীনের মসজিদ, খোয়াসাগর দীঘি, আলেকজান্ডার মেঘনা বীচ উল্লেখযোগ্য।